লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৯০% রপ্তানি ও আমদানি হয় । এই দুই সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বর্হিবিশ্বের সাথে যোগাযোগে আমাদের অর্থনীতির চালিকা শক্তি । UNCLOS ১৯৮২ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় জীবিকা এবং জীবন রক্ষার অনুসন্ধান ও সমুদ্র সম্পদ আহোরনের সার্বভৌম অধিকার প্রদান করেছে। মৎস্য খাত জাতীয় রপ্তানি আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এছাড়া, বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন ধরনের জলজ, প্রাণীজ ও খনিজ সম্পদ সমুদ্রে রয়েছে। এগুলি ছাড়াও বাণিজ্য, মাছ ধরা, গবেষণা, অনুসন্ধান ও তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ ইত্যাদি আহোরনে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ এবং বিভিন্ন ধরনের জলযান সমুদ্রে কাজ করে। সমুদ্র এলাকায় কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সমুদ্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের মাধ্যামে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দেশের স্বার্থ রক্ষা করা ।
বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের মিশন:
জলদস্যুতা, বেআইনি পাচার নিয়ন্ত্রণ, বাংলাদেশ জল ও উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্য, তেল, গ্যাস, বনজ সম্পদ ও পরিবেশ দূষণ রোধ, সমুদ্র বন্দরকে নিরাপত্তা সহায়তার মাধ্যমে সামগ্রিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা ।
বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের প্রাথমিক ভূমিকা:
১। সমুদ্রে মধ্যে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ
২। মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ
৩। সমুদ্র পথে অবৈধ অভিবাসন রোধ করুন
৪। সমূদ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ
৫। চোরাচালান রোধ, অবৈধ অস্ত্র, ড্রাগ এবং মাদকদ্রব্যের পাচার
৬। দুর্যোগ পরবর্তী কার্য পরিচালনা করা
৭। সমুদ্রে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা
৮। বনজ সম্পদ সংরক্ষণ
৯। বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় নজরদারি
১০। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অন্য যে কোন দায়িত্ব পালন
১১। যুদ্ধকালীন ভূমিকা
১২। যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনী সহায়তা করা